নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) হলো পবিত্র শবে বরাত। ফারসি ভাষায় শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। ‘শবে বরাত’-এর আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারকাত’। হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর কাছে এ রাত শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে পরিচিত।
বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। ’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৫৬৬৫)
কিন্তু শবে বরাতের রাতেও নিম্নবর্ণিত ২৫ ধরনের ব্যক্তির দোয়া ও আমল (খাটি অন্তরে তওবা না করা পর্যন্ত) কবুল হয় না-
(১) মুশরিক
(২) মাতাপিতার অবাধ্য সন্তান
(৩) আত্মীয়দের সঙ্গে ন্যায়সংগত কারণ ছাড়া সম্পর্ক ছিন্নকারী
(৪) জালিম শাসক ও তাহাদের সহযোগী,
(৫) না হক হত্যাকারী
(৬) পরনারীগামী
(৭) মদ্যপানকারী
(৮) ঈর্ষাপরায়ণ
(৯) নিন্দাকারী
(১০) গণক ও রেখা টানিয়া অথবা ফালনামা দেখিয়া ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ শুভাশুভ নির্ধারণকারী
(১১) গায়ক ও বাদক
(১২) মিথ্যা শপথের সাহায্যে পণ্য বিক্রয়কারী
(১৩) পায়ের গিরার নিচে গর্ব সহকারে কাপড় পরিধানকারী
(১৪) জাদুকর
(১৫) পরস্পর শত্রুতা ভাব পোষণকারী
(১৬) কৃপণ
(১৭) অন্যায়ভাবে শুল্ক আদায়কারী
(১৮) জুয়াড়ি
(১৯) দাবা-পাশার খেলোয়াড়
(২০) বেদাত প্রচলনকারী
(২১) মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারী
(২২) সুদ দাতা
(২৩) সুদ গ্রহীতা
(২৪) ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা
(২৫) সন্ত্রাস ও ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী।
তাই শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত ও শবে বরাতের রাতে দোয়া কবুল হওয়ার জন্য উল্লিখিত কবিরা গুনাহসমূহ থেকে খাঁটি দিলে তওবা করা উচিত। অন্যথায় সারারাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করেও কোনো লাভের আশা করা যায় না।
Posted ৭:০১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin