নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
সয়াবিন তেল সংকটের কারণে যশোরে টিসিবির পণ্য বিতরণ বন্ধ রয়েছে। ফলে জেলার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ জন কার্ডধারী ক্রেতা রমজান মাসেও কম মূল্যের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এমনটি জানিয়েছেন যশোরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শাহীন।
তিনি জানান, কার্ডধারী একজন ক্রেতা ভর্তুকি মূল্যে এক কেজি ছোলা, দুই কেজি মসুর ডাল, পাঁচ কেজি চাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। কিন্তু সয়াবিন তেলের মজুত না থাকায় কার্যক্রমটি বন্ধ রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হলেও এবছর ফেব্রুয়ারি থেকে সয়াবিন তেলের মজুত না থাকায় থমকে গেছে এ কার্যক্রম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম জানান, জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে সব থেকে বেশি সদর উপজেলায় কার্ডধারী ক্রেতা রয়েছেন ৩৪ হাজার ১০২ জন এবং সব থেকে কম চৌগাছায় ১১ হাজার ৫৮১ জন। এছাড়াও বাঘারপাড়ায় ১১ হাজার ৮২০ জন, ঝিকরগাছায় ১৩ হাজার ২৫৫ জন, অভয়নগর ১২ হাজার ১৭২ জন, শার্শায় ১৮ হাজার ৪৩৮ জন, মণিরামপুরে ২১ হাজার ৬২৬ জন ও কেশবপুরে ১৪ হাজার ৪৪৫ জন টিসিবি কার্ডের আওতায় রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, টিসিবি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই ভর্তুকি মূল্যে ক্রেতাদের কাছে এই সেবা পৌছে দেয়া হয়েছে। তবে এবছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সয়াবিন তেলের মজুত না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে দ্রুতই সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে যে পরিমাণ মজুত আছে তা দিয়ে আজ থেকে শার্শা উপজেলার ১৮ হাজার ৪৩৮ জন কার্ডধারী ক্রেতার মাঝে টিসিবি পণ্য সরবারহ করা হবে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শাহীন।
তিনি বলেন, অন্যান্য জেলায় টিসিবির পণ্য সঠিক সময় দেয়া হয়েছে। আমাদেরও টার্গেট ছিলো রমজানে অন্তত দুইবার পণ্য বিতরণ করা। তবে সয়াবিন তেলের মজুত না থাকায় কার্যক্রমটি বিঘ্নিত হয়েছে। তবে আশা করছি দ্রুতই সমাধান হবে। এবং ঈদের আগেই জেলার সকল কার্ডধারি ক্রেতার কাছে স্বল্প মূল্যে আমরা টিসিবির পণ্য পৌছে দিতে পারবো।
Posted ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin