বুধবার ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্মি জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের উদ্ধারে আলোচনা চলমান: নৌপরিবহন অধিদফতরের ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

জিম্মি জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের উদ্ধারে আলোচনা চলমান: নৌপরিবহন অধিদফতরের ডিজি

নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেছেন, বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়া সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা জাহাজে কারো অভিযান চালানোর সুযোগ নেই। জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের উদ্ধারে আলোচনা চলমান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে আরো বেশকিছুদিন সময় লাগবে।

শুক্রবার সকালে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি এলাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের যুদ্ধজাহাজের অবস্থানের বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

জানা গেছে, সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইইউ’র নেভাল ফোর্সের যুদ্ধজাহাজ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে ‘অপারেশন আটলান্টা’ এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে।

এতে দেখা গেছে, ইইউ নেভাল ফোর্সের ‘অপারেশন আটলান্টা’র মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটি দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, ইইউ নেভাল ফোর্স যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও বাংলাদেশের সম্মতি ছাড়া বাংলাদেশি জাহাজে অভিযান চালানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজ মালিকপক্ষ এখন পর্যন্ত বাস্তবতার ভিত্তিতে জিম্মি জাহাজে সামরিক অভিযানের সম্মতি দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা ছাড়া বিকল্প নেই। যেকোনো সামরিক অভিযান নাবিক, জাহাজ ও জাহাজের পণ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে এটা ঠিক, যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কারণে দস্যুদের ওপর একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি হবে। এতে জিম্মি সমস্যার দ্রুত সমাধান হতে পারে।

এদিকে ইইউ নেভাল ফোর্সের জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ নভেম্বর থেকে এদিন পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে দস্যুরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছোট নৌযান। বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে তিনটি। তবে সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

এদিকে, জিম্মি জাহাজ ও নাবিক-ক্রুদের উদ্ধারে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল।

সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। এই অঞ্চলটির পুলিশ জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। গত ১৭ মার্চ পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানায়, বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের জন্য মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি আটক করেছে তারা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]