বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে বাসভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট

শেরপুরে বাসভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চলছেই

ঈদুল ফিতরের আটদিন পরও শেরপুরে অতিরিক্ত বাসভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঈদ শেষ হওয়ার আটদিন হয়েছে। কিন্তু ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলমান আছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকাগামী যাত্রী শহীদুল ইসলাম বলেন, ঈদের দুইদিন আগে থেকে ঢাকা-শেরপুরগামী সব দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার স্থলে ৮০০-৯০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। অপরদিকে, ঈদ পার হয়েছে আজ আটদিন অথচ শেরপুর-ঢাকাগামীসহ অন্যান্য সব সড়কে বাসভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হারেই নেয়া হচ্ছে।

যাত্রী ইব্রাহীম হায়দার বলেন, বাসভাড়া বৃদ্ধি নেয়ার কারণে ভুক্তভোগী অনেকেই বাসের টিকেটসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। তারা লিখেছেন, এ বিষয়ে প্রশাসন নীরব কেন?

যাত্রী আব্দুস সাকুর বলেন, শেরপুর চেম্বার অফ কমার্স, কালেক্টরেট, উইমেন চেম্বার, টেনিস ক্লাবসহ অন্য সব শেরপুর-ঢাকা কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

শেরপুর হেল্পলাইন নামের ফেসবুক আইডিতে এক যাত্রী বাসের টিকেটের ছবিসহ লিখেন, এগুলো কি দেখার কেউ নেই? যেমন খুশি তেমন করে ভাড়া নিচ্ছে। দুই সিটের ভাড়া ১৬০০ টাকা নিয়েছে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এদিকে, দূরপাল্লার বাস ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশায়ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

শ্রীবরদীর রানী শিমুল এলাকার হোসেন মাতব্বর বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শেরপুর-শ্রীবরদী, শেরপুর-নকলা, শেরপুর-ঝিনাইগাতী, শেরপুর-নালিতাবাড়ী এবং শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশার ৪০ টাকার ভাড়ার স্থলে নেয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।

জেলা শহরের খোয়ারপাড় এলাকা থেকে ঝিনাইগাতীগামী যাত্রী আশরাফ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে অনেক যাত্রীর সঙ্গে শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে।

এদিকে, ভাড়া বৃদ্ধি নেয়ার কথা স্বীকার করে শেরপুর চেম্বার-টু এর কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা বলেন, আমরা আর ২-১ দিন ভাড়া বেশি নেবো, এরপর আর নেয়া হবে না।

ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে শেরপুর জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ দে সেন্টু বলেন, আমাদের মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো রকম ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে তারা ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের দেখা উচিত বলে তিনিও মনে করেন।

এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, ভাড়া বৃদ্ধি রোধে আমরা এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী মালিকদের কাছ থেকে যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দিয়েছি। এছাড়া এ অভিযান এখনো চলছে বলে জানান তিনি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]