মোঃ হাফিজ পেকুয়া প্রতিনিধি: | বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
পেকুয়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে রাতে কাটছে বনবিভাগের উঁচু পাহাড় আর তাতে দিনে তৈরী করছে অবৈধ বসত ঘর।
সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একটি প্রভাবশালী চক্র পাহাড় কেটে ধ্বংস করছে প্রকৃতির অপরূপ সৌর্ন্দযকে।
এতে করে ভারসাম্য হারিয়ে হুমকিতে পড়ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। যেনো দেখার কেউ নেই। সরেজমিন দেখা যায়, একটি প্রভাবশালী চক্র পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। কর্তনকৃত পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসতঘর তৈরী করছে গরিব অসহায় মানুষ। পেকুয়া টইটং বড়তলী খুন্নাভিটা-(নূরানী গঞ্জ) এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- মোঃজাফর আলম সরকারি বনবিভাগের গহিন পাহাড়ে ছোট বড় গাছ কেটে বসত ভিটা তৈরি করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করার সততা পাওয়া যায়। এলাকাবাসি জানিয়েছেন হঠাৎ করে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করলেও কিছুতেই থামছেনা পাহাড় কাটা-ঘর নির্মাণ।
জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলায় শিলখালী, টইটং ও বারবাকিয়া হচ্ছে প্রায় পাহাড়ি এলাকা, প্রতি বছর শুকনো মৌসুম এলেই নির্বিচারে চলে পাহাড়কাটা। আর র্বষা মৌসুমে ঘটে পাহাড় ধ্বংসের ঘটনা। এভাবে পাহাড়কাটার কারণে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে পাহাড় ও বনাঞ্চলের আয়তন। অনেক স্থানেই টিলার ভারসাম্য ক্ষতগ্রিস্ত করে বাড়িঘর তৈরি করা হচ্ছে।
পাহাড় কেটে ঘর তৈরীর বিষয়ে সংশ্লষ্টি বারবাকিয়া রেঞ্জের বনবিট র্কমর্কতা-হাবিবুল হক জানান,নূরানী গঞ্জ এলাকার জাফর আলম এর নির্মাণাধীন ঘরের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে- যদিও কাজ করে এমন খবর পাওয়া গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বিহিত পদেক্ষপ নেওয়া হবে। বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা আরও বলেন-বনবিভাগে পাহাড় কেটে ঘর তৈরীর খবর পাওয়ার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও প্রক্রিয়া চলমান আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক বাসন্দিা জানান, প্রভাবশালীদের নেতৃত্বেই চলে এই পাহাড়কাটা। তারা সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালান এই অপরাধকর্ম।
এজন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে কেউই এই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে চান না। সচেতন মহল মনে করেন-দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাহলে বনবিভাগের জায়গায় জোরপুর্বক ভাবে কিহও দখল করার সাহস পাবেনা।
Posted ৪:০২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin