শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবি ছাত্রী হেনস্তার জেরে দুপক্ষের পাল্টা  অভিযোগ

বিথী আক্তার ,ইবি প্রতিনিধি:   |   শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট

ইবি ছাত্রী হেনস্তার জেরে দুপক্ষের পাল্টা  অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের আবাসিক সিটে ওঠার জেরে ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খালেদা হলের ২০৪ নম্বর রুমে সিট পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৈয়দা সায়মা রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর সাথে ওই রুমের সিনিয়রদের বাকবিতন্ডা হয়। সে সময় রুমের সিনিয়ররা বিষয়টি ফ্লোর প্রতিনিধিকে অবগত করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ফ্লোর প্রতিনিধি ও অনান্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে। কিন্তু সায়মা রহমান বিষয়টি মীমাংসা না করে ঘটনার অপপ্রচার করে তার ছেলে বন্ধুর মাধ্যমে তাদেরকে ফোন কলে হুমকি দেয়ায়। ঘটনার একপর্যায়ে সায়মা নামের মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে সার্বিক ভাবে সুস্থ ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে বিকেলে বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পপি খাতুনকে ( ফ্লোর প্রতিনিধি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হেনস্তা করেছে মেহেদী হাসান হাফিজ।

এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালের দিকে সৈয়দা সায়মা রহমান প্রক্টরের কাছে লিখত অভিযোগ দেন পপি এবং তার সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। এতে পপি, সালমা, ইরানী, প্রমি, রিপা, তৃশা, মিতু, শান্তনা, রিমা, মনিরা, তন্দ্রা, মুম্মা ও শুভ্রার নাম উল্লেখ করে র‍্যাগিং এর অভিযোগ আনেন। তিনি আরও বলেন, তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করলে সায়মা জ্ঞান হারালে তাকে মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পপি খাতুন জানায়, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জনসম্মুখে আমার গায়ে হাত তুলেছে। এই লজ্জাজনক ঘটনার বিচার চাই। জুনিয়রের বয়ফ্রেন্ড আমাকে মারধর করেছে। প্রশাসন সেই ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে আন্দোলন থামবে না। আর এইসব ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সায়মা রহমানকে হল থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি আমাদের সকল দাবি মানতে হবে। আমি নিরাপত্তা চাই। বিচার চাই।

খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমার মেয়ের গায়ে হাত তোলা মানে আমার গায়ে হাত তোলা। এর যথাযথ বিচার করা হবে। মেয়েদের দাবির একাংশ ছিলো জুনিয়র মেয়েকে হল থেকে আজকেই বের করে দেওয়া।  আমি তাকে নিয়ে যাচ্ছি। কালকে হল বডিকে নিয়ে প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা হবে। এছাড়াও মেয়েদের বাকী দাবিগুলোও পুরণ করতে প্রসাশনের সাথে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:৪৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]