নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
নেপালি তরুণী জৌতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বাংলাদেশি রাসেলকে বিয়ে করেছেন। চার বছর আগে সাইপ্রাসে পরিচিত হন রাসেল ও নেপালি তরুণী জ্যোতি। দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের ইতি টেনে বিয়ে পিঁড়িতে বসলেন এই তরুণ-তরুণী।
জ্যোতির বর্তমান নাম খাদিজা বেগম। সুন্দর ভাবে সংসার করছেন তারা। পরিবার সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা রাসেল। তিনি মনতাজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে। আর সাবেক জ্যেতি বর্তমান খাদিজা বেগমের মূল বাড়ি নেপালের সোনাচুড়ি জেলার হেটড়া শহরে।
তরুণ রাসেল জানান, প্রায় চার বছর আগে সাইপ্রাসের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন দুজনই। সেখানেই কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে জ্যোতির সঙ্গে আস্তে আস্তে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মন লেনদেন হয়। একপর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গত ২৩ নভেম্বর পরিবার ছেড়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসেন জ্যোতি। ঢাকায় এসেই ধর্ম পরিবর্তন করে নাম রাখেন খাদিজা বেগম। এরপর আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ের কাবিননামাও রেজিস্ট্রি করেন এই দম্পত্তি।
তারপর গত ২০ ডিসেম্বর স্ত্রী খাদিজাকে নিয়ে নিজ গ্রামে ফেরেন রাসেল। গত সোমবার পারিবারিকভাবে তাদের গায়ে হলুদ হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি গ্রামবাসীকেও দাওয়াত করে খাইয়েছে রাসেলের পরিবার।
নববধূ খাদিজা এখন নিয়মিত বাংলায়ও বলতে পারেন।
তিনি বলেন, নেপালে আমার বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই আছেন। তাদের সম্মতি নিয়েই বাংলাদেশে এসেছি। এ দেশের সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রাসেল ও তার পুরো পরিবারকে অনেক ভালোবাসি। আমি এ দেশেই থেকে যাব। তবে মাঝে মধ্যে হয়তো নিজ দেশে যাবো। তবে বেড়াতে থাকতে নয়। আবার বাবা মাকে নিয়ে বাংলাদেশে ঘুরাতে নিয়ে আসবো।
এদিকে রাসেলর মা বলেন, অমুসলিশ মেয়ে হলেও সে এখন নওমুসলিশ। আর আমার ছেলের বউ। ইসলামি রীতি-নীতি অনুসরণ করেই তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।তাদের জন্য দোয়া করি যেন তারা সুখে থাকে।
এ দিকে নতুন নেপালি বউ দেখতে এসে জড়ো হয় রাসেলে বাড়ির আশেপাশের শত শত মানুষ। তারাও রাসেলের পরিবারে আনন্দে আনন্দিত।
Posted ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin