বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তিমযাত্রায় পরম বন্ধু শ্যামল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

অন্তিমযাত্রায় পরম বন্ধু শ্যামল

৬০ বছর বয়সী শ্যামল চন্দ্র দে। ২০ বছর বয়স থেকেই শ্মশানঘাটে মানুষের মরদেহের সৎকার করে আসছেন তিনি। প্রায় ৪০ বছরের এ কাজের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক মানুষের শেষ বিদায়ের সাক্ষী হয়েছেন শ্যামল চন্দ্র। পরম যত্নে নিজ হাতে শেষবারের মত অনেককেই করিয়েছেন অন্তিম স্নান। এ কাজে কখনো নেননি পারিশ্রমিক। তার এমন কর্মে মনে হবে মানুষদের অন্তিমযাত্রায় পরম বন্ধু তিনি।

জানা যায়, ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউপির গজারিয়া বাজারের মহাশ্মশান ঘাটে ১০ জনের একটি দল (কাঠুরিয়া) নিয়ে মানুষের মরদেহ সৎকার করেন শ্যামল চন্দ্র। দলের অন্যরা হলেন- দিলীপ চন্দ্র মজুমদার, তাপস দাস, সুজন দেবনাথ, বিকাশ, সৌরভ, রিপন, যুগল, খোকন ও দিনা। শ্যামল চন্দ্র গজারিয়া এলাকার মৃত অনিল চন্দ্র দের ছেলে। পেশায় বাসের সুপারভাইজার শ্যামলের পরিবারে রয়েছে দুই ছেলে ও স্ত্রী।

শ্যামল চন্দ্র দে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে গজারিয়ার এই শ্মশানঘাটে মানুষের মরদেহ সৎকার করছি। আমি নিজেও একজন হিন্দু। এই এলাকায় হিন্দু কেউ পরলোকগমন করলেই ডাক পড়ে আমার। তখন আমিসহ দলের ১০ জন মিলে ওই ব্যক্তির মরদেহ সৎকার সম্পন্ন করি। যার বিনিময়ে কোনো পারিশ্রমিক নেই না আমি। মানুষের শেষ বিদায় বেলায় পাশে থাকতে পারছি, এতেই নিজেদের থেকে আত্মতৃপ্তি মিলে। যার জন্য কেউ ডাকলেই আমরা সৎকার করে দেই। আর নিজের সংসার চালাই বাসের সুপারভাইজারের চাকরি করে।

গজারিয়া এলাকার শ্রী শ্রী কৃষ্ণকালী মন্দির কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তনুময় পাল লিটন বলেন, সমাজের বৃহৎ স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে তারা বেশ কয়েক বছর ধরে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মরদেহ সৎকার করে আসছে। আমার দৃষ্টিতে তাদের এ কাজ একটি মানবতার ধর্ম।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]