হারতে হারতে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া খুলনা টাইগার্স সবার আগে বিপিএলের প্লে অফ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। আজ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। এমন ম্যাচে হেরে গেল বরিশাল। ৬ উইকেটের বড় জয় নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল খুলনা টাইগার্স। সৌজন্যে মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটি আর হাবিবুর রহমানের ৯ বলে ৩০* রানের ভয়ংকর ইনিংস। এই পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরেই থেকে গেল সাকিব আল হাসানের দল।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় খুলনা টাইগার্স। এবার ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে ফের ব্যর্থ সাব্বির রহমাণ। ৬ বলে মাত্র ২ রান করে প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। অপর ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি করেন ৩৩ বলে ৩৭ রান। ১৫ রান করা খুলনা অধিনায়ক শাই হোপকে কট অ্যান্ড বল্ড করেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দারুন জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয় এবং ইয়াসির আলী।
৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদুল। ৫৫ রানের দারুণ এই জুটি ভাঙে ইয়াসির আলী রাব্বির (১৩) রানআউটে। এরপরই ম্যাচের রূপ বদলে যায়। উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন হাবিবুর রহমান। খেলেন ৯ বলে ৩০ রানের ভয়ংকর ইনিংস। যাতে ছিল ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা। তার ব্যাটেই ৩ বল হাতে রেখে জিতে যায় খুলনা। মাহমুদুল অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৬৪* রানে। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ২টি ছক্কা।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৯ রানের স্কোর গড়ে ফরচুন বরিশাল। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একাদশে থাকলেও আজকের ম্যাচে বরিশালের নেতা মেহেদি হাসান মিরাজ। চমক দিয়ে ওপেনিংয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ মাত্র ৯ রান করে নাসুমের শিকার হন। এছাড়া এনামুল হক বিজয় ২৯ বলে ২৮ রান করেন। লঙ্কান তারকা চতুরাঙ্গা ডি সিলভা ১৪ আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করেন ১৪ বলে ২২।
পাঁচ নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন প্রিটোরিয়াস। সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ৪৮ রান। ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার এবং ৪টি ছক্কার মার। শেষদিকে ইব্রাহিম জারদানের ১৫ বলে ২১ আর করিম জানাতের ৯ বলে ১৮ রানের ক্যামিওতে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে ফরচুন বরিশাল। ২০ রানে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ আর হাসান মুরাদ।