বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক: জয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক: জয়া

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। তার মোহনীয় সৌন্দর্যের কাছে বয়স একটি সংখ্যা হয়ে গেছে। নতুন ছবিতে, অভিনয়ে ক্রমেই দুর্বার হয়ে উঠছে এই অভিনেত্রী। বসন্ত শুরুর ঠিক আগের দিন হলদে শাড়িতে জয়া আগুন রাঙা বসন্ত হয়েই যেনো বসন্তকে বরণ করলেন। মুগ্ধতা ছড়ালেন ছবিতে, হলুদে…।

দেয়ালেরর ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের শুরু। সেই সঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। দিনটিতে তাই পলাশ, শিমুলের সঙ্গে মিলে একাকার ভালোবাসার রঙও।

গতকাল নিজেকে বসন্তে রাঙানো জয়া আজ দিলেন ভালোবাসার বার্তা। বললেন, ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে লেখা ভালোবাসার ওই বার্তার শুরুতেই জয়া লেখেন, কাল ছিল বসন্তের শুরু। আজ ভ্যালেন্টাইন। ভালোবাসার সঙ্গে রাখি বেঁধে রাখা দুটি দিন।

ভালাবাসার এ দিনটি নিয়ে নায়িকার ভাষ্য, কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটাই সংগত। তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!

জয়ার কথায় ভালোবাসাই হচ্ছে ব্যক্তিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেয়। এই ভালোবাসাই হচ্ছে নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। অভিনেত্রী বলেন, ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা—ভালোবাসাই তো সেটা দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।

ভালোবাসা শিখতে হয়। উপলব্ধি করতে হয় মন থেকে। এই ভালোবাসার কল্যাণেই বিরহ বেদনার ছায়া নেমে যেতে পারে পৃথিবী থেকে।

জয়া বলেন, আমরা যদি সত্যই ভালোবাসতে শিখি, তাহলেই পৃথিবীর বেদনার বড় ছায়াটা সরে যায়। ফুটপাতে যে বৃদ্ধাটা রাতের বেলা শীতে কাঁপছে তাঁর জন্য ভালোবাসা; বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত যে কিশোরিটি ঘরের কোণে আত্মহত্যায় উদ্যত তাঁর জন্য ভালোবাসা; ভূমিকম্পের তুরস্কে মা–বাবাকে হারানো যে সদ্যোজাত শিশুটি ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার পেল তাঁর জন্য ভালোবাসা; মন্দির চূর্ণ করে দেওয়ার পর সেখানে মাথা ঠুকছেন যে পূজারী তার জন্য ভালোবাসা।

সব শেষে জয়া শেষ করলেন ‘আমরা ভালোবাসি’ বাক্যটি দিয়ে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]