নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়ে খুশি বাগেরহাটের ৫৬ তরুণ-তরুণী। ঘুষ সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়া পুলিশে চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নতুন চাকরি পাওয়া মোহাম্মদ হাসান সৈকত বলেন, শুনেছি সরকারি চাকরির জন্য অনেক টাকা-পয়সা লাগে। অনলাইনে ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছিলাম, আর কোনো টাকা লাগেনি। কাউকে দিয়ে সুপারিশও করাতে হয়নি।
এর আগে নিয়োগের বিভিন্ন দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণা করলে এই আবেগঘন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। নিয়োগপ্রত্যাশী ও অভিভাবকদের সম্মুখে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এ ফল ঘোষণা করেন। একে একে প্রাথমিকভাবে ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য নির্বাচিত ৪৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে মোট ৫৬ জনের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া চিতলমারী উপজেলা সদরের বাসিন্দা জুঁই আক্তার বলেন, ভালো লেখাপড়া করলে যে চাকরি পাওয়া যায় তার প্রমাণ পেলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেক স্বচ্ছভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এভাবে চললে মেধাবীরা আসতে পারবে সরকারি চাকরিতে। শুধু জুঁই আর সৈকত না, চাকরিপ্রাপ্ত প্রত্যেক তরুণ-তরুণীর অভিব্যক্তি একই রকম।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, আমরা খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ দেওয়া হয়নি কাউকে। কোনো রাজনৈতিক সুপারিশ বা চাপ ছিল না। মেধাবী এবং শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের আমরা চাকরি দিয়েছি। আশা করি, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা পুলিশ বিভাগ ও দেশের সম্মান বৃদ্ধি করবে।
এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় বাগেরহাট জেলার ৫৬টি পদের বিপরীতে এসএসসি পাস চার হাজারের অধিক তরুণ-তরুণী অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। বয়স, ফল ও সঠিকভাবে আবেদন না করায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুই হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এক হাজার ৯৩৫ শারীরিক মাপ ও শারীরিক কসরতের সুযোগ পান। এদের মধ্যে ৫৩৫ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন মাত্র ১২১ জন। এদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৫৬ জনকে চূড়ান্তভাবে ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
Posted ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin