নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
হুমায়ুনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গৃহবধূ তামান্নার। ওই সম্পর্কে জেরে হুমায়ুন তার স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে প্রেমিকা তামান্নাকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। সেখানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ছিলেন তারা।একপর্যায়ে প্রেমিকা তামান্নার সঙ্গে কথা কাটাকাট হয় হুমায়ুনের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রেমিকা তামান্নাকে হত্যা করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের নিকলীর একটি আবাসিক হোটেলে। এ ঘটনায় তামান্নার কথিত প্রেমিক হুমায়ুন গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে ওই গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা তিনি স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
জানা যায়, হুমায়ুন কুলিয়ারচরের পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করেন আর তামান্না কুলিয়ারচরের পশ্চিম জগৎচর গ্রামের অহিদ মিয়ার মেয়ে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর সূত্র ধরেই হুমায়ুন তার স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে তামান্নাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী সদরের শিমুল কমপ্লেক্স ভবনের একাংশ হাওর প্যারাডাইস নামে আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর কক্ষে ওঠেন তারা।
বুধবার দুপুরের দিকে হোটেলকর্মী শায়লা আক্তার ও হুমায়ুন গৃহবধূ তামান্নাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমায়ুনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় তামান্নার বাবা বাদী হয়ে হুমায়ুনকে আসামি করে নিকলী থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিকলী থানার ওসি মনসুর আরিফ। বৃহস্পতিবার হুমায়ুনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি বিচারকের কাছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তামান্নাকে হত্যার বিবরণ দিয়েছেন বলে জানান ওসি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কিশোরগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের খাসকামরায় আসামির স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়েছে।
Posted ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin