মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে তাইওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে তাইওয়ান

দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ান নিয়ে চীন ও পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তাপ বিরাজ করছে। তাইওয়ানকে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে কার্যত আগ্রাসী মনোভাব পোষণ করছে চীন। এমন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪০০টি বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে যাচ্ছে তাইওয়ান।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে তাইওয়ান ৪০০টি মার্কিন স্থল চালিত হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে। মূলত বাণিজ্যগোষ্ঠীর একজন নেতা এবং তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়টি জানেন এমন ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

রয়টার্স বলছে, গত ৭ এপ্রিল ক্রেতার নাম না জানিয়ে ৪০০টি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ১.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তির কথা ঘোষণা করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলেছে, এই মিসাইলের উৎপাদন ২০২৯ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলেছে, তাইওয়ান হচ্ছে এই মিসাইলের ক্রেতা। পেন্টাগন অবশ্য এই চুক্তির বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েন। সেই সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন। আর ওই বৈঠকে চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহ ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রেসিডেন্ট সাই।

বৈঠকের পর হাউস সিলেক্ট কমিটি অন দ্য চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির  রিপাবলিকান চেয়ারম্যান মাইক গ্যালাঘের বলেছেন, সৌদি আরবে তার নির্ধারিত সফরের আগে তাইওয়ানকে হারপুন অ্যান্টি শিপ মিসাইল দেওয়ার উপায় খুঁজতে চান তিনি।

এর আগে ২০২০ সালে তাইওয়ান বলেছিল, সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে তারা বোয়িং নির্মিত স্থলভিত্তিক হারপুন অ্যান্টি শিপ মিসাইল কেনার পরিকল্পনা করেছে।

এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি ফ্যাং বলেন, এর আগেই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করো হয়েছিল। এ সময় তিনি চুক্তিটি নির্ধারিত শিডিউল অনুসারে চলার আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন।

১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে বেইজিং। অন্যদিকে নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে তাইওয়ান। তাইওয়ানের ভাষ্য, দেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৫৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(228 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]