নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৭ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
বিভিন্ন আশ্চর্যজনক ঘটনার জন্য প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে থাকে ভারত। এবারো ব্যতিক্রম ঘটেনি। দেশটিতে জলাধার পরিদর্শনে গিয়ে সেলফি তোলার সময় হঠাৎ পানিতে পড়ে যায় সরকারি কর্মকর্তার দামি ফোন।
সরকারি কর্মকর্তা সেই ফোন উদ্ধার করতে ওই গভীর জলাধারে প্রথমে তিনি ডুবুরি নামান। কিন্তু খুঁজে না পাওয়ায় পুরো পানি সেচে ফেলার নির্দেশ দেন ওই কর্মকর্তা। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের ছত্তিশগড়ে।
এই কর্মকর্তাকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত এই সরকারি কর্মকর্তার নাম রাজেশ বিশ্বাস। তিনি ওই এলাকায় নামে খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার দাবি, পানিতে পড়ে যাওয়া ফোনটিতে সরকারি স্পর্শকাতর তথ্য ছিল। তাই সেটি উদ্ধার করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এবং এই ফোন পাওয়া না গেলে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো থাকে। তাই ফোনটি উদ্ধারে তিনি এমন নির্দেশ দেন।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ছত্তিশগড়ের খেরখাট্টা বাঁধ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সেলফি তোলার সময় হঠাৎ জলাধারের পানিতে পড়ে যায় স্যামসাং ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, যার দাম ছিল প্রায় এক লাখ রুপি। সেটি উদ্ধারে প্রথমে স্থানীয় ডুবুরিদের জলাধারে নামানো হয়। কিন্তু তারা ফোনটি খুঁজে পাননি। পরে পানি সেচে ফেলার জন্য আনা হয় ডিজেলচালিত পাম্প।
তবে এই ‘কিছু পানি’র পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ২০ লাখ লিটার, যা দিয়ে ছয় বর্গকিলোমিটার (৬০০ হেক্টর) কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। সরকারি কর্তার নির্দেশে জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ এই পানি সরাতে কয়েকদিন ধরে পাম্প চালানো হয়।
পরে ভারতীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা এসে সেই কাজ বন্ধ করেন। প্রিয়াঙ্কা শুক্লা নামে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে (রাজেশ) বরখাস্ত করা হয়েছে। পানি একটি অপরিহার্য সম্পদ। এটি এভাবে নষ্ট করার ক্ষমতা কারো নেই।
সরকারি কর্মকর্তার এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরা। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি টুইট করেছেন, মানুষ যখন উত্তপ্ত গ্রীষ্মে পানির জন্য ট্যাংকারের ওপর নির্ভর করছে, তখন ওই কর্মকর্তা লাখ লাখ লিটার পানি নিষ্কাশন করেছেন, যা সেচের জন্য ব্যবহার করা যেতো।
সূত্র: আনন্দবাজার
Posted ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin