নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. আব্দুল জলিল গাজীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আইনুছবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. আব্দুল জলিল গাজী সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার শ্রীফলকাটি গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি ফারজানা হক বলেন, জলিল অন্য রাজাকারদের সঙ্গে যোগসাজশে এলাকায় লুটপাট ও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাতেন। তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর গ্রামে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আব্দুল জলিল গাজীসহ রাজাকারদের সহায়তায় ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং তার নেতৃত্বে রাজাকাররা গ্রামের সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি আর্মিদের বাংকার, বন্দিশালা, টর্চার সেল তৈরির কাজে জোরপূর্বক বাধ্য করতো।
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মহান মক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পর পরই আত্মগোপনের জন্য তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণখান থানাধীন আইনুছবাগ এলাকায় চলে আসেন।
গ্রেফতার এড়াতে জলিল গাজী নিয়মিত স্থান পরিবর্তন করে পলাতক জীবনযাপন করতে থাকেন। এ সময় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অন্যের মোবাইল ব্যবহার করতেন। আত্মগোপনে থাকাকালীন তিনি ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
গ্রেফতারের পর আসামি জলিল গাজীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান সিনিয়র এএসপি ফারজানা হক।
Posted ২:৫২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin