নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৭ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই দিনকে মুসলমানের সাপ্তাহিক ঈদের দিন ঘোষণা করেছেন। বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম’। (ইবনে মাজাহ)
তবে জুমার নামাজের শর্ত বা ফরজ হলো খুতবা। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব।
খুতবা শোনা ওয়াজিব আর তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজ পড়া সুন্নত। তাহলে ওয়াজিব ছেড়ে কেন এ নামাজ পড়তে হবে?
দ্বীন হচ্ছে তা, যা আল্লাহ ও তার নবী (সা.) মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা দিয়েছেন। এই দ্বীন যার মাধ্যমে আমাদের কাছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পাঠিয়েছেন, তিনিই মানুষকে খুতবার সময় এই নামাজ পড়ার হুকুম করেছেন। জুমার দিন কেউ যদি মসজিদে এসে দেখে যে খুতবা চলছে তাহলে সে যেনো সংক্ষেপে ২ রাকাত নামাজ পড়ে নেয়। এটাই হচ্ছে বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফয়সালা।
যেই ব্যক্তি মানুষের মধ্যে সবার থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথাকে বেশি মূল্যায়ন করে না, সেই ব্যক্তি নবীজি (সা.) এ নির্দেশ মেনে চলবেন। হাদিসের বর্ণনায় এ বিষয়গুলো ওঠে এসেছে এভাবে-
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খুতবা দানকালে সেখানে এক ব্যক্তি আগমন করেন। তিনি তাকে বলেন, হে অমুক! তুমি কি (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) নামাজ পড়েছ? ঐ ব্যক্তি বলেন, না । নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তুমি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, তুমি সংক্ষিপ্ত ভাবে দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) নামাজ আদায় কর’। (বুখারি ৮৮৩, মুসলিম ১৮৯৫-১৯০০, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ ১৪০৩, আবু দাউদ ১১১৫-১১১৭)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, খুতবা শুরু হয়ে গেলেও মসজিদে এসে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়ে নেওয়া। হাদিসের ওপর আমল করা।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমাবারের ইবাদত-আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Posted ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin