নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
সম্প্রতি বোর্ড কর্তাদের ওপর অভিমানে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ওপেনার ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অবশ্য ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই অবসর ভাঙার ঘোষণা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার।
তামিমের অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার নেপথ্যের কারিগর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতিসহ বাকি সবাই যখন তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ, তাকে অবসর নেয়া থেকে বিরত থাকতে মানাতে পারছে না তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন মাশরাফী।
গণভবনে তামিমের যাওয়া থেকে অবসর ভেঙে ফেরা পর্যন্ত মাশরাফীর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। আর এতেই দেশের সাধারণ দর্শক থেকে মাশরাফী ভক্ত, অনেকেই দাবি তুলেছে তাকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট করার। অবশ্য ক্রিকেটপ্রেমিদের এই দাবিটা অনেক দিনের।
অনেকে বলছে মাশরাফীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল যেমন বদলে গেছে ঠিক তেমনি বদলে যাবে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিও। তামিমের অবসর থেকে ফেরার ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মাশরাফীকে বিসিবি সভাপতি করার দাবিতে পোস্ট করেছে।
মাশরাফীকে বোর্ড সভাপতি করার দায়িত্ব বেশ পুরনো। যদিও সমর্থকদের এই দাবি চাইলেই বাস্তবায়ন করা যাবে না। কারণ বিসিবির সভাপতি হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। এছাড়া আরো কিছু বিধি বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি পদে প্রার্থীকে অবশ্যই পরিচালক হতে হবে। সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। এছাড়া কাউন্সিলর হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করতে হয়।
মাশরাফীর এমন কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় চাইলেও এখনই সাবেক এ অধিনায়ককে বোর্ড সভাপতি করা যাবে না। এছাড়া বিসিবির নির্বাচনেরও অনেক দিন বাকি। ফলে আপাতত মাশরাফীকে বোর্ড সভাপতি পদে সহসাই দেখতে পারার কোনো সম্ভাবনা নেই।
Posted ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin