সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিক হিসেবে দেখা হলেও স্বামীর মুখটি দেখা হলো না মরিয়মের

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট

প্রেমিক হিসেবে দেখা হলেও স্বামীর মুখটি দেখা হলো না মরিয়মের

রুবেল হোসেন ও মরিয়ম আক্তার প্রায় ১০ বছর প্রেম করেছেন। ছেলে বেকার হওয়ায় মেয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায় মরিয়মের পরিবার। তাই প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিতে চ্যালেঞ্জ নেন রুবেল। চলে যান সৌদি আরব।

পরে অবশ্য মন গলে প্রেমিকার অভিভাবকদের। বিয়েতে রাজি হন তারা। গত ১৪ জুলাই সৌদি আরবের দাম্মামের হুফুফ শহরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন রুবেল হোসেন।

বুধবার জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দুপুরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও কলে গত ১০ মাস আগে বিয়ে হয় প্রেমিকা মরিয়ম আক্তারের সঙ্গে। কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় বিয়ের পিঁড়িতে পাশাপাশি বসার সৌভাগ্য হয়নি এ যুগলের। এরপর থেকেই স্ত্রীর কাছে ফেরার জন্য দিন গুনছিলেন এ প্রবাসী। অবশেষে তিনি ফিরেছেন। কিন্তু লাশ হয়ে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুবেলের স্ত্রী মরিয়ম বলেন, রুবেল প্রবাসে থাকায় আমাদের বিয়ে হয় ভার্চুয়ালি। প্রেমিক হিসেবে বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে দেখা হলেও স্বামী হিসেবে তার মুখটি একবারের জন্যও দেখতে পারিনি। ১০ মাস আগে আমাদের বিয়ে হলেও ছুটি না পাওয়ায় তিনি বাড়িতে আসতে পারেননি।

তিনি আরো বলেন, অবশেষে ছুটি তিনি পেয়েছেন, কিন্তু ঘুমিয়ে গেছেন চিরদিনের জন্য। তার স্মৃতি নিয়ে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন, মঙ্গলবার রাতে চারজনেরই মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। এরপর পরিবারের লোকজন যার যার স্বজনের মরদেহ বুঝে নেয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:০১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]