নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
প্যারিস ছেড়ে আমেরিকাতে পাড়ি দিয়েছেন লিওনেল মেসি। সেখানে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামির জার্সিতে রীতিমতো শাসন করছেন তিনি। এরই মধ্যে জিততে ভুলে যাওয়া ক্লাবটিকে লিগস কাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ দিয়েছেন। আরেকটি লিগে মায়ামিকে ফাইনালে তুলেছেন তিনি। ভাগ্য সহায় হলে হয়তো ইউএস ওপেন কাপ শিরোপাও স্পর্শ করবেন এ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
লিগস কাপ ও ইউএস ওপেন কাপ মিলিয়ে ৮ ম্যাচ খেলে ফেললেও এতদিন এমএলএসে নামেননি মেসি। অবশেষে সেই অপেক্ষারও অবসান হয়েছে লিওর। আর এমএলএসে নিজের অভিষেক ম্যাচেই গোল করে দলকে জিতিয়েছেন এলএমটেন। এতে মায়ামির জার্সিতে ৯ ম্যাচেই ১১ গোলের মালিক বনে গেছেন ৩৬ বছর বয়সী মেসি।
রোববার মেজর লিগ সকারে নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মেসির মায়ামি। তবে শুরুর একাদশে ছিলেন না লিও। এমনকি ছিলেন তার বন্ধু বার্সেলোনা কিংবদন্তি সার্জিও বুসকেটসও। এদিন মেসি ছাড়া দলের অন্য গোলটি করেছেন দিয়েগো গোমেজ। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাটা মার্তিনোর শিষ্যরা। এ ম্যাচে রেড বুলসকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে মায়ামি।
ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখলে পিছিয়ে থাকলেও স্বাগতিক রেড বুলস মায়ামি ডিফেন্ডারদের তটস্থ করে রেখেছিল। ফলে ৩০ মিনিট প্রতিপক্ষের গোলবারের লক্ষ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি মার্তিনোর শিষ্যরা। তবে এরপরই ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হন সফরকারীরা। যার ফল হিসেবে ৩৬ মিনিটেই মায়ামি লিড পেয়ে যায়।
দলটির জার্সিতে অভিষেক গোল করেছেন প্যারাগুয়েন মিডফিল্ডার দিয়েগো গোমেজ। নোয়াহ এলিয়েন ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে দারুণ এক পাসে গোমেজকে খুঁজে নেন। এরপর নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই তরুণ মিডফিল্ডার।
মায়ামির সেই লিড অল্প সময়ের ব্যবধানেই ভেঙে দিতে পারত নিউইয়র্ক। তবে প্রথমে পাওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পরে ভিএআরে বদলে যায়। রিপ্লেতে দেখা যায় ডি-বক্সে থাকাডেভিড রুইজের হাতে নয় কাঁধে লেগেছে বলটি। ফলে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার আশা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত আর হয়ে উঠেনি। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় মায়ামি।
বিরতির পর গা গরম করতে থাকা মেসিকে দেখেই তিনি মাঠে নামছেন- সেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। তবে তাকে মাঠে নামাতে মার্তিনো ৬০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। প্রতিপক্ষের ক্রমাগত আধিপত্য দেখে প্রধান তারকা নামলেন মাঠে। কেবল মেসিই নন, তার আমেরিকা অধ্যায়ে নতুন করে সঙ্গী হওয়া বুসকেটসকেও একইসঙ্গে নামানো হয়। হয়তো মায়ামিকে তারা যেকোনো সময় ধরে ফেলার আশঙ্কায় ছিলেন কোচ।
এরপরই অবশ্য ম্যাচে ফিরতে শুরু করে মায়ামি। দৃশ্যপটে বদল আনা মেসি মাঠে নেমে দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করেন। যদিও সেগুলো চূড়ান্ত পরিণতি পাচ্ছিল না। ৮৭ মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক আদায় করে নেন মেসি। তবে মেসির ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়ালে বাঁধা পেয়ে ফিরে আসে। এরপর অবশ্য তাকে বেশিক্ষণ নিরাশ থাকতে হয়নি। এর আগে ওপেন কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কেবল গোলবিহীন ছিলেন মেসি। মায়ামির হয়ে তার আগের সাত ম্যাচেই তিনি টানা জালের দেখা পেয়েছেন।
ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এলএমটেন বল বাড়ান বেঞ্জামিন ক্রামাশ্চিকে। পরে ফিরতি বল টোকা দিয়ে জালে জড়িয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মেসি। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।
এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানি থেকে একধাপ উপরে ওঠে এলেন মেসিরা।
Posted ৭:১০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin