নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে বাংলাদেশকে সমর্থন দান অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নাথান ফ্লুক।
তিনি বলেন, ‘জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা পরিবর্তিত পরিবেশগত অবস্থার সঙ্গে সাড়া দিতে সক্ষম নতুন জাতের উদ্ভিদ উদ্ভাবনের হারকে ত্বরান্বিত করতে পারেন।’
‘নেক্সাস অব ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ইনোভেটিভ বায়োটেকনোলজি’ বিষয়ক সংলাপে যোগ দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তিনটি কারিগরি সেশন জুড়ে বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, নিয়ন্ত্রক ও নীতিনির্ধারকরা জৈবপ্রযুক্তি সম্পর্কিত নতুন নীতি এবং গবেষণা শেয়ার করেছেন।
উদ্বোধনী অধিবেশন চলাকালীন, ওয়াহিদা আক্তার ও নাথান ফ্লুক কৃষি খাতে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে নির্ভুল জৈবপ্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, খরা ও নতুন কীটপতঙ্গ কৃষকদের জন্য লাভজনকভাবে খাদ্য উৎপাদন করা কঠিন করে তুলেছে বলেও তারা মনে করেন।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফ্লুক কৃষিতে স্থিতিস্থাপকতা আনতে ও বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে একটি নিরাপদ হাতিয়ার হিসেবে কৃষি জৈবপ্রযুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
জৈবপ্রযুক্তি উদ্ভাবনকে সুরক্ষা সমর্থনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন- এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মার্কিন নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে, যাতে কৃষকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন সরঞ্জামগুলোতে সম্পৃক্ত হতে সক্ষম করে। জলবায়ু ও গ্লোবাল মিথেন অঙ্গীকারের জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশনের সদস্য হিসাবে, কৃষকদের জীবিকাকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম করে তোলায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একটি অভিন্ন মিশন রয়েছে।’
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুর ওপর কৃষি উৎপাদনের প্রভাব কমাতে জৈব প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফ্লুক বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।’
Posted ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin