সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র নামকরণ যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র নামকরণ যেভাবে

প্রকৃতির নিয়মে পৃথিবীতে অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে। ভয়বহতার কারণে কোনোটি হয়ে থাকে ইতিহাস। আবার কোনোটি মানুষের হৃদয়ে দাগকাটার আগেই শেষ হয়ে যায়।

প্রকৃতিতে মৃদু শীত অনুভূত হওয়ার আগেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। যা শীতকে আরো ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি এরই মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিধিলি’। এই নামটি দেওয়া মালদ্বীপের। যার অর্থ ‘ফলপ্রসূ কোনো বিষয়’।

কেবল এই ঝড়ই নয়। এর পরবর্তী ঝড়গুলোর নামও আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। কয়েকটি দেশ নিয়ে গঠিত সংস্থা আইএমডি ২০২০ সালেই মোট ১৬৯টি ঝড়ের নাম তালিকাভুক্ত করেছে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এটার নাম দেয় ইরান। ‘মিধিলি’র পরের নাম ঠিক করে রেখেছে মিয়ানমার, যার নাম ‘মিগজাউম’। মিয়ানমারের দেওয়া আগের ঝড় ছিল তাউটে। মিয়ানমারের পরে পালা ওমানের, যারা আগের ঝড়ের নাম দিয়েছিল ‘ইয়াস’। তাদের দেওয়া পরের ঝড়ের নাম ‘রে-মাল’।

এভাবেই পরপর লাইনে আছে পাকিস্তানের ‘আসনা’, কাতারের ‘ডানা’, সৌদি আরবের ‘ফেইনজাল’, শ্রীলংকার ‘শক্তি’, থাইল্যান্ডের ‘মন্থা’, সংযুক্ত আরবের ‘সেন-ইয়ার’, ইয়েমেনের ‘দিতওয়া’।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন করা হয়

একটা সময় ছিল যখন ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নাম রাখা হতো না। আমাদের দেশে ১৯৭০ সালে কিংবা ১৯৯১ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। সেগুলোর কোনো নাম নেই। শুধু আমাদের দেশে নয়, অন্যান্য দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়েরও কোনো নাম তখন থাকতো না। একপর্যায়ে ঝড়ের নাম রাখার একটি চল শুরু হয়। কারণ, নামবিহীন থাকলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ও ধরন সম্পর্কে তথ্য দ্রুত জানা যায় না। এর আঘাত হানার সময় বা তারিখ বের করে পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করতে হয় আবহাওয়াবিদদের। এটি বেশ সময়সাপেক্ষ। তাই নাম রাখার চল শুরু হয়। এটি করে থাকে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও )।

ডব্লিউএমও সেজন্য পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। আরএসএমসি তার সদস্যদেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে থাকে। তালিকা পেলে যাচাই-বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল। তার নাম ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস। এর মধ্যে আছে ভারত, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৮ সালের আরএমএসসি নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা করে। এ সময় ১৩টি দেশ ১৩টি করে নাম দেয়। নামকরণের ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলা হয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:১৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]