শুক্রবার ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেঁকে বসেছে শীত, এই ঠান্ডা থাকবে যে কয়দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট

জেঁকে বসেছে শীত, এই ঠান্ডা থাকবে যে কয়দিন

পৌষের শেষদিকে সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। কিন্তু তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। শীতে জবুথবু রাজধানীবাসীও, যদিও এখন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়া ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা আরো জানিয়েছেন, কুয়াশা আরো দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। এরপর সপ্তাহ শেষে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পৌষের ২৯ তারিখ। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, কুয়াশা পরিস্থিতি আরো দু-তিন দিন থাকতে পারে। এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি কমে গেছে। তাই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ১৫ ডিগ্রিতে এলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। এখন কোথাও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে শীতের অনুভূতি এত হতো না।

তিনি বলেন, এছাড়া উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। গতকালের চেয়ে আজ বাতাস কিছুটা কম আছে। তবে কুয়াশার কারণে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। আরো দু-তিন দিন পর কুয়াশার তীব্রতা করতে পারে।

‘আপাতত কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত বা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর ১৬ ও ১৭ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তির দিকে থাকতে পারে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে। এরপর ১৮ ও ১৯ তারিখের দিকে একটু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমতে পারে।’

‘এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম আছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুলনামূলক কিছু কিছু জায়গায় বেশিই আছে’ বলেন কাজী জেবুন্নেছা।

ঘন কুয়াশার কারণে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই দিনে সেভাবে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাই দিনের বা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে উত্তর দিক থেকে বইছে হিমেল বাতাস। তাই সারাদেশেই তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা।

শনিবার সারাদিনই ঢাকার আকাশ কুয়াশায় ঢাকা ছিল। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টেকনাফে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]