নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
দিনভর নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন আর গ্রাম-বাংলার বাহারি সুস্বাদু পিঠাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) হিম ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বানানো এসব বাহারি পিঠাতে দশেরও অধিক স্টল ছিল।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের চার বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি পিঠাসহ বিভিন্ন খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ক্ষীর, চিকেন পুলি, ছিটারুটি, ডালের হালুয়া, দুধ কদু, লাউয়ের পায়েসসহ বাহারি খাবারের আয়োজন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাব বলেন, শীতে বাড়ি না যাওয়াতে এবার ভাপা পিঠা খাওয়া হয়নি। হিম উৎসবে এসে পিঠা খেয়ে বেশ ভালো লাগছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে গ্রামীণ সব আয়োজনে মনেই হচ্ছে না যে এটি ক্যাম্পাসের কোন আয়োজন। মনে হচ্ছে গ্রামে বাড়ির ধারের দিকের কোনো আয়োজন এটি।
হরেক রকমের পিঠা খেয়ে ও পরিচিত হতে পেরে চোখে মুখে আনন্দের ছাপ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাজিদের। তিনি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, অনেক পিঠাই খাওয়া হয়েছে, আবার অনেকগুলো কখনো দেখিওনি। তবে আমার কাছে পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি, নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।
এদিকে দেরি করে আসাতে ইংলিশ ফর স্পিকারস অব আদার ল্যাঙ্গুয়েজেস (ইসোল) বিভাগের মামুনুর রশিদ পিঠার স্বাদ নিতে পারেনি। তিনি বলেন, আমি আসতে আসতে দেরি করে ফেলেছি। বেলা ১ টা বাজার আগেই প্রায় বেশির ভাগ দোকানের পিঠেপুলি শেষ হয়ে গেছে। তবে আজ অনেক দিন পর এত সুন্দর একটা আয়োজনে ছিল।
আয়োজকদের দাবি, যত সংখ্যক মানুষের জন্য পিঠেপুলি ও খাবারের ব্যবস্থা ছিল, তার চেয়েও অনেক বেশিই উপস্থিতি ছিল, যার ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে।
এমন উৎসব যেন প্রতিবছর আয়োজন করা এমনটি দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসোল বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা কামরুল হাসান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বানানো নানান পিঠাপুলির স্বাদ নিতে পেরে যেমনটা আমি উচ্ছ্বসিত, তেমনি তিনিও বেশ খুশি। এমন উৎসব যেন প্রতিবছর আয়োজন করা হয়, তেমনিই প্রত্যাশা থাকবে।
Posted ৩:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin