নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ফুটবলে পেনাল্টি শট ঠেকানো এমনিতেই বড় ঘটনা। এই তো কয়দিন আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের স্বাদ দিয়েছেন দলটির গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
তবে অনেক সময় নির্দিষ্ট কোনো ফুটবলারের পেনাল্টি ঠেকানোর ঘটনাও হয়ে উঠতে পারে অনেক বড়। আর সেই গোল যদি হয় সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজনের, তবে তো কথাই নেই।
কেমন হয় সেই মুহূর্তের অনুভূতি, যখন কেউ পেলের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন? উত্তর জানতে হলে আপনাকে প্রশ্নটা করতে হবে সেবাস্তিও লুইস লরেন্সোর কাছে।
ব্রাজিলের শহর জুনদিয়ার এ মানুষটির যে আছে পেলের পেনাল্টি ঠেকানোর অভিজ্ঞতা। ১৯৭১ সালে ব্রাজিলিয়ান শীর্ষ লিগের ম্যাচে পেলের পেনাল্টি ঠেকিয়েছিলেন লরেন্সো। সেই ঘটনা লরেন্সোর জন্য এতটা মাহাত্ম্যের ছিল যে ম্যাচের বলটি তিনি নিজের সংগ্রহে রেখে দিয়েছেন।
কখনো অম্লান না হওয়া সেই মুহূর্ত স্মরণ করে লরেন্সো বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে পেলের পেনাল্টি ঠেকিয়েছিলাম।’ পেলের চেয়ে বয়সে এক বছরের ছোট লরেন্সো। তবে পেলের মতো এই গোলরক্ষকও ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন ১৫ বছর বয়সে।
না, পেলের মতো বিখ্যাত হতে পারেননি, তাকে আলাদাভাবে মানুষ চেনেও না। তবু পেলের কারণে যেন লরেন্সো পেয়ে গেছেন অমরত্ব। পেলের পেনাল্টি ঠেকানো নিশ্চয়ই সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। তবে ফুটবলের রাজার মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে লরেন্সোকেও।
পেলের বিদায়ে ব্যথিত এই গোলরক্ষক বলেন, ‘পেলে আমার কাছে সর্বসেরা। সেরা একজন স্ট্রাইকার। আপনি তাকে একমুহূর্তের জন্য ভুলে থাকতে পারবেন না। আপনি যখন তাকে গোলবঞ্চিত করার চেষ্টা করবেন, তখন সে নিজেই গোল আবিষ্কার করে নেয়। সে আক্রমণভাগের অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে ভিন্ন।’
Posted ৩:০২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin