নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
যশোরে কলেজছাত্রীসহ একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম, ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণকারী রুবেল হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৯ ফেব্রুয়ারি যশোর পিবিআইয়ে একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া বেলেরমাঠ গ্রামে তার ভায়েরা জালাল হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন বিকেলে তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
গ্রেফতারকৃত রুবেল হোসেন রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার আসকরপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। মামলার অপর আসামি নড়াইল জেলা সদরের চামরুল গ্রামের সজিবের স্ত্রী কামরুন্নাহার। তিনি বর্তমানে যশোর শহরের চারখাম্বা মোড়ের জনৈক লাবনীর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
যশোর পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, আসামি রুবেল একজন প্রতারক। তিনি নিজেকে কখনো পুলিশ সদস্য, আবার কখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। তারপর সেই নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হলে তার ভিডিও ধারণ করতেন। এরপর সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন রুবেল।
তিনি আরো জানান, প্রতারক রুবেলের কাছ থেকে মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই কলেজছাত্রীর বাবা জানান, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে তার মেয়ে এমএম কলেজের দক্ষিণ গেটের পাশে দক্ষিণালয় নামে মেসে থেকে যশোর শিক্ষাবোর্ড কলেজে লেখাপড়া করতেন। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তার মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। তার মেয়ে যশোর পঙ্গু হাসপাতালের বিপরীত পার্শ্বে পিকাসো নামীয় কোচিং সেন্টারে পড়তেন। কোচিংয়ে যাওয়া-আসার পথে ২০২১ সালের জুনে আসামি রুবেলের সঙ্গে তার মেয়ের পরিচয় হয়।
রুবেলে নিজেকে পুলিশের এএসআই আবার কখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। রুবেল নিজেকে অবিবাহিত বলে তার মেয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে অপর আসামি কামরুন্নাহারকে বোন বলে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে ২০২১ সালের ৩ আগস্ট তার মেয়েকে কামরুন্নাহারের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে ধর্ষণ করেন রুবেল। এ সময় নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণও করেন তিনি। পরে সেই নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে চাঁদা করেন তিনি। চাঁদা না পেলে ওই ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি যশোর পিবিআইয়ে একটি অভিযোগ করেছেন তিনি।
Posted ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin