নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কলেজের ছাত্রী রানী। গত ৩ ডিসেম্বর ভোমরা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল প্রেমিক চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের সাইফুল খানের সঙ্গে দেখা করা। প্রায় দুই মাস চট্টগ্রামে থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি খুলনায় আসেন ঐ ছাত্রী। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় খুলনার বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে আবেদন করেন। রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে ভিসা দেওয়া হয়েছে।
প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলকাতার এই কলেজছাত্রী। তিনি জানান, ফেসবুকে ৪ বছর প্রেম করার পর এমন প্রতারণার শিকার হতে হবে বুঝতে পারেননি। বাংলাদেশে এসে ভুল করেছেন, এখন প্রেমিকের সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে চান।
ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য খুলনার রায়েরমহল এলাকার শেফালী সরকারের কাছে আশ্রয় নেন রানী। আজ বা কালকের মধ্যেই তিনি ভারতে যাবেন।
ভুক্তভোগী রানী জানান, কলকাতার রানাঘাটের নন্দীঘাট বৃদ্ধাকূল এলাকার বাসিন্দা তিনি। তার বাবা একজন রাজমিস্ত্রি। পরিবারে বাবা-মা এবং ছোট একটি বোন আছে। সেলসম্যানের চাকরির টাকা জমিয়ে তিনি কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি পাসপোর্ট ও ভিসা করেছিলেন। প্রথমে একবার ভিসা করলেও বাংলাদেশে আসতে পারেননি।
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের সাইফুল খানের সঙ্গে গত চার বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক। সাইফুল খানের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। চট্টগ্রামে সাইফুলের কাছে প্রায় দুই মাস ছিলেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি খুলনা এসে শেফালী সরকারকে তার বিপদের সব কথা বলেন। পাশাপাশি তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভারতে ফেরত যাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা চান।
শেফালী সরকার বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় রানীর সঙ্গে পরিচয় হয়। ভোমরা বন্দরের বিনেরপোতা থেকে আমরা একসঙ্গে সাতক্ষীরায় আসি। সে চট্টগ্রামের যাওয়ার জন্য আমার সাহায্য চায়। আমি তাকে একটি বাসে করে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেই। দীর্ঘ দুই মাস পর গত ১ ফেব্রুয়ারি রানী আমাকে ফোন করে ভারতে ফেরার বিষয়ে সহযোগিতা চায়। আমি ঐ দিনই তাকে খুলনার ইন্ডিয়ান সহকারী হাই কমিশনারের কাছে নিয়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী দেশের একটি মেয়ে বাংলাদেশে এসে যেন প্রতারণার শিকার না হয় এবং আমাদের দেশের দুর্নাম না হয় সে কারণেই আমি রানীর পাশে দাঁড়িয়েছি। এছাড়া সে আমাকে ‘মা’ বলে ডেকেছে, তাই যতটুকু পেরেছি তার পাশে দাঁড়িয়েছি।
Posted ১:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin