সুন্দর ও দাগহীন ত্বক আমরা সবাই ভালোবাসি। আর এমন ত্বক পাওয়ার ইচ্ছা আমাদের সবার মধ্যেই থাকে। তবে এই সুন্দর ও দাগহীন ত্বক পাওয়ার জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয়। আর তা না হলে সুন্দর ত্বক বেশি দিন স্থায়ী হয় না, দিন দিন জেল্লা কমতে শুরু করে।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা চাই কম পরিশ্রম ও অল্প স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারে ত্বকের জেল্লা যেন উপচে পড়ে। আবার অতিরিক্ত স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে।
তাই বুঝেশুনে প্রোডাক্ট বেছে নেয়া উচিত, যা আপনার ত্বকের জেল্লা ফেরাতে পারে। নানা সমস্যাও সমাধান করতে পারে। বেশ কিছু বছর ধরেই বিউটি দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসেনশিয়াল অয়েল।
এসব প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহারে ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান তো হয়-ই, জেল্লাও হয় দেখার মতো। এর মধ্যে রোজমেরি অয়েল অন্যতম। এই তেলের গুণে ত্বকে কোনো দাগছোপ থাকে না। পাশাপাশি জেল্লাও হয় দেখার মতো।
রোজমেরি ওয়েল কী এবং কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে।
রোজমেরি অয়েল কী? কীভাবে তৈরি করা হয় এই তেল?
রোজমেরি একটি জনপ্রিয় ভেষজ, যা এশিয়া অঞ্চলে পাওয়া যায়। এর পাতাগুলো সরু সরু, অনেকটা সুচের মতো। এর ফুলও খুব সুন্দর হয়। গোলাপি, সাদা, পার্পল এবং নীল রঙের ফুলে ভরে থাকে গাছ।
রোজমেরির পাতা থেকেই বের করা হয় এই এক্সট্র্যাক্ট, যা দিয়ে এই এসেনশিয়াল অয়েল তৈরি করা হয়। রোজমেরি অয়েলে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙাল উপাদান। এসব উপাদান সহজেই আপনার ত্বকের নানা সমস্যা মেটাতে পারে।
গবেষণায় কী উল্লেখ আছে
রোজমেরি অয়েলে আছে ভিটামিন এ এবং সি। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, দুই ভিটামিনই কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারী। রোজমেরি অয়েলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আছে। এর অ্যান্টি-সেপটিক গুণে ত্বকের নানা সমস্যা মুহূর্তে সমাধান হয়ে যায়। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণাপত্রেও এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের কাজ করে
রোজমেরি অয়েল ময়শ্চারাইজারের মতো ব্যবহার করতে পারেন। আপনার মুখ ক্লিনজিং করার পর টোনার লাগিয়ে নিন। তারপর সামান্য পরিমাণে রোজমেরি অয়েল হাতে নিয়ে তা মুখে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে মাসাজ করে নিন। এটি আপনার ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দেয়।
আপনার ত্বকের সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মুখের পোরস বদ্ধ হয়ে থাকার আশঙ্কাও কম হয়। ব্রণ-এর তো সমস্যা প্রায় হয় না বললেই চলে।
মুখের দাগছোপ দূর করে
এই তেলে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা অ্যাকনে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোজমেরি অয়েলে আছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি, যা ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি-র গুণে ত্বকের দাগছোপ মলিন করতে সাহায্য করে। তাই প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরতে সময় লাগে না।
বয়সের ছাপ মলিন করে
ত্বকের জ্বালাভাব এবং লাল ভাব কমাতেও সাহায্য করে। এগজিমার মতো সমস্যাও সারিয়ে তুলতে পারে রোজমেরি অয়েল। ত্বকের কোমলভাব বজায় রাখে। মুখের ভেতর থেকে জেল্লা জোগায়। মুখে সহজেই বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তাই আপনার ত্বক অসময়ে বুড়িয়ে যাচ্ছে ভেবে যদি চিন্তিত থাকেন, তবে রোজমেরি অয়েল নিয়মিত মুখে লাগাতে পারেন।
