নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৭ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে উঠতি বোরো ধানক্ষেত ও আমও লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়।
জানা গেছে, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর ইউনিয়ন ও চন্ডিগড় ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাছপালা। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো- সদর ইউনিয়নের বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়, জামিয়া ইসলামিয়া আসাদিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও চন্ডিগড় ইউনিয়নের নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়।
বারমারি গ্রামের রব মিয়া বলেন, শনিবার বিকেলে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও গাছ ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।
চন্ডিগড় ইউনিয়নের শহিদ মিয়া বলেন, হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে অনেকের বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বারমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের স্কুল ঘরের টিনের চাল ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
দুর্গাপুর সদর ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ হারিছ উদ্দিন জানান, ঝড়ে বারমারি এলাকার বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে অনেক গাছপালা। এছাড়া পাকা বোরো ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিলোয়ার হোসেন খান বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে প্রায় ১১ হাজার মানুষ। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ৩টি খুঁটি ভেঙে গেছে। মেরামতের কাজ করছে আমাদের টিম।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, তালিকা তৈরি করে যতটুকু সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।
Posted ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin