টি-২০ খেলায় ২০০ রানের লক্ষ্য, বেশ বড়ই। কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এত বড় লক্ষ্য সামনে নিয়ে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতলো রোহিত শর্মার দল।
এই জয়ে আসরের ৬ষ্ঠ জয়ে রোহিত শর্মার দল টেবিলের তিনে উঠে এসেছে। তবে এটি সম্ভব হয়েছে ঘনঘনে সূর্যের ন্যায় বেঙ্গালুরুকে পুড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। মুম্বাইয়ের কাছে মূলত সূর্যকুমার যাদবের বিধ্বংসী এক ক্যামিওর কারণেই হেরে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বেঙ্গালুরুকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। বিরাট কোহলি ফেরেন ব্যক্তিগত ১ রানেই। ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু।
সেখান থেকে দুই বিদেশি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর ফ্যাফ ডু প্লেসির ৬২ বলে ১২০ রানের বিধ্বংসী জুটি। ৩৩ বলে ৮ চার আর ৪ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। ৪১ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় ৬৫ আসে ডু প্লেসির ব্যাট থেকে।
ম্যাক্সওয়েলের ৬৮ রান এসেছে ৩৩ বলে। ২০৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। শেষের দিকে দিনেশ কার্তিক ১৮ বলে ৩০ রান করলে বেঙ্গালুরুর রান ৬ উইকেটে ১৯৯ রানে পৌঁছায়। তবে ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং স্বর্গে এই রানও মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন জেসন বেহরেনডরফ। এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন, ক্রিস জর্ডান ও কার্তিকেয়া নেন একটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় বরাবরের মতো এদিনও মুম্বাইয়ের ইনিংসের শুরুতে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন ওপেনার ঈশান কিষান। ২১ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রান করে এই বাঁ-হাতি ব্যাটার মিডল অর্ডারদের কাজটা সহজ করে দেন। আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা ৮ বল খেলে ৭ রানে আউট হলেও ঈশানের ২০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে মুম্বাইয়ের নাগালেই ছিল আস্কিং রানরেট।
সূর্যকুমার ও নেহাল ওয়াধেরা এরপর বাকি কাজটা সেরেছেন। দুজন মিলে ৬৬ বলে ১৪০ রান যোগ করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বেঙ্গালুরু। সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে আসে মুম্বাইয়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮৩ রান। মাত্র ৩৫ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সৌজন্যে এ রান করেন তিনি।
নেহাল ৩৪ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন। দাপুটে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ১৬.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। বেঙ্গালুরুর হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও বিজয়কুমার বসাক দুটি করে উইকেট নেন।
বেঙ্গালুরুর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দুটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৫২ রান। ৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন বিজয়কুমার ভৈশাখ।
