মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত চসিক: মেয়র রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত চসিক: মেয়র রেজাউল

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতরের আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় এ তথ্য জানান তিনি।

এ সময় মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য জানতে বা যে কোনো সহায়তার জন্য কন্ট্রোলরুমে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা যে কোনো সময় যোগাযোগ করতে পারবেন। নাগরিকদের বলবো- দুর্যোগকালে ত্রাণ থেকে স্বাস্থ্যসেবা যে কোনো প্রয়োজনে আপনারা আমাদের কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করুন। আপনাদের সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী দ্রুততম সময়ে সাড়া দিতে প্রস্তুত।

নগরের দামপাড়ায় চসিক বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ ভবনের নিচতলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম, যেখানে থাকা ০১৮৯৪-৮৮৩০০২ এবং ০২-৪১৩৬০২৭১ এ দুটি নম্বরে যে কোনো নাগরিক জরুরি সব ধরনের সেবার জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন।

অন্যদিকে, নগর ও উপজেলাগুলোতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে এক হাজার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী। যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জন মানুষ।

শুক্রবার রাতে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে- অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:৫৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]