শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লা লিগার চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১৫ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

লা লিগার চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

শিরোপার সুবাস ছিল আগে থেকেই। দ্রুত সেই স্বাদ পেতে মাঠে নেমে অনবদ্য পারফরম্যান্স উপহার দিল বার্সেলোনা। ছন্নছাড়া এস্পানিওলের ওপর একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রেখে মেতে উঠল গোল উৎসবে। সেই সঙ্গে চার ম্যাচ হাতে রেখে কাতালানরা পুনরুদ্ধার করল লা লিগা শিরোপা।

এস্পানিওলের মাঠে রোববার রাতে রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে ৪-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। তাদের অন্য দুই গোলদাতা আলেসান্দ্রো বালদে ও জুলস কুন্দে। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে আসরের শেষ দিনে এস্পানিওলকে ২-১ গোলে হারিয়ে চতুর্থ লিগ শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। সেই দলকে হারিয়ে এবার ২৭তম বারের মতো লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হলো কাতালান ক্লাবটি।

এর আগের ২৬ শিরোপার ১০টিই বার্সেলোনা জিতেছে একবিংশ শতাব্দীতে; ক্লাবের ইতিহাসের সেরা তারকা লিওনেল মেসির উপস্থিতিতে। সেই হিসেবে ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম দলটি মেসিকে ছাড়া লিগ শিরোপার স্বাদ পেল।

উৎসবের রাতে বার্সেলোনার উদযাপন শুরু হতে পারতো ষষ্ঠ মিনিটেই। ডি-বক্সে জুলস কুন্দের কাটব্যাকে বল ফাঁকায় পেয়ে কোনাকুনি শট নেন পেদ্রি, কিন্তু বল চলে যায় বাইরে। এটা গোল হয়নি, ডাগআউটে কোচ শাভি হার্নান্দেজের যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না!

অবশ্য ওই হতাশা বেশিক্ষণ থাকেনি। পাঁচ মিনিট পরই দলকে এগিয়ে নেন লেভানদোভস্কি। বাঁ দিক থেকে বালদের পাস ছয় গজ বক্সে পেয়ে নিখুঁত ছোঁয়া দেন পোলিশ তারকা। গোলরক্ষক ছিলেন অন্যদিকে ঝুঁকে, বিনা বাধায় এক ড্রপে বল খুঁজে পায় কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা।

একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে ২০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে পেদ্রির বাড়ানো বল দূরের পোস্টে পেয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে গোলটি করেন স্প্যানিশ লেফট-ব্যাক বালদে। চার মিনিট ব্যবধান আরো বাড়াতে পারতেন লেভানদোভস্কি। তবে তার শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক ফের্নান্দো।

সেবার না পারলেও ৪০তম মিনিটে ঠিকই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান লেভানদোভস্কি। পাল্টা আক্রমণে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে দারুণ পাস বাড়ান রাফিনহা। এবারও গোলরক্ষক আগেই বল ধরতে এগিয়ে গিয়ে ব্যর্থ হন। নিখুঁত শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান লেভা।

প্রথমে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও পরে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে গত এক যুগে জার্মান ফুটবলে গোলমেশিন হয়ে ওঠা লেভানদোভস্কি নতুন চ্যালেঞ্জেও আছেন একই ধারায়। গত জুলসাইয়ে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে লা লিগায় অভিষেক মৌসুমেই পিচিচি ট্রফি জয়ের পথে আছেন তিনি। আসরে এখন পর্যন্ত ৩০ ম্যাচে তিনি করেছেন সর্বোচ্চ ২১ গোল।

বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান কমানোর অনায়াস সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি গত সেপ্টেম্বরে বার্সেলোনা থেকে এস্পানিওলে যোগ দেওয়া মার্টিন ব্রাথওয়েট। ডি-বক্সে অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ডের শট হাত প্রসারিত করে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন।

প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে ১০ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা, যার তিনটিতে মেলে সাফল্য। ৫৩তম মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম শটে ব্যবধান আরো বাড়ায় তারা। ডি ইয়ংয়ের চমৎকারভাবে বক্সে বাড়ানো থ্রু বল হেডে ঠিকানায় পাঠান ফরাসি ডিফেন্ডার কুন্দে।

৭৩তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান কমান হাভিয়ের পুয়াদো। প্রতি-আক্রমণে সবাইকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকেই চিপ শটে আগুয়ান টের স্টেগেনের ওপর দিয়ে বল লক্ষ্যে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। প্রথমে অফসাইডের বাঁশি বাজলেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

দুই মিনিট যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ সময়ে আরেকটি গোল শোধ করে এস্পানিওল। ফের্নান্দো কালেরোর হেড পোস্টে প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বল গোলমুখ থেকে সহজেই জালে পাঠান হোসেলু। এর পরপরই বাজে শেষের বাঁশি। কোচ ও বেঞ্চের খেলোয়াড়রা মাঠে দৌড়ে যান। শুরু হয় বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব।

মৌসুমে এটি বার্সেলোনার দ্বিতীয় শিরোপা। গত জানুয়ারিতে রিয়াল মাদ্রিদকে ফাইনালে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয় করে দলটি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]