নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
দীর্ঘ কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে পুড়ছিল পটুয়াখালীর কলাপাড়া। একইসঙ্গে লোডশেডিং আর তীব্র গরমে যেন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেছে কলাপাড়ায়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
ফলে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের সব বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে এসব এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া সব মাছধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে। অসহনীয় তাপমাত্রার মধ্যে বৃষ্টির পশলায় গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। সকাল থেকে বৃষ্টির আগমনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভিজে ভিজে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অনেকেই বলছেন, আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন রহমতের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তবে টানা কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হলে গরমের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
পৌর শহরের মাছ বিক্রেতা শানু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর অসহনীয় গরমে শরীরটা প্রায় অর্ধসিদ্ধ হয়ে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালের বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিয়েছি। বলা যায় ছাতা ব্যবহার না করে ইচ্ছে করেই ভিজেছি। এখন স্বস্তি লাগছে।
রিকশাচালক হালিম বলেন, রাতে গরমে ঘুমাতে পারিনি। সকালে বৃষ্টি দেখেই রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি। গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে। ভিজতে খুব ভালো লাগছে।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, বর্তমানে ৬৫ দিনের অবরোধ চলছে। গভীর সমুদ্রে জেলেরা নেই। প্রতিকূল আবহাওয়ায় জেলেরা নিরাপদেই রয়েছে।
Posted ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin