নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে মেগাসিটি ঢাকা। তবে বৃষ্টি হলে বাতাসের মান কিছুটা উন্নতি হয়। শুক্রবার (১৬ জুন) ভোরে রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও শীতল আবহাওয়ার কারণে ঢাকার বাতাসের দূষণমাত্রা মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন বেলা ১১টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৪, দূষণের দিক থেকে যা মধ্যম মানের। বায়ুমানের তালিকায় ১৩তম স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী। সবচেয়ে নির্মল বায়ুর শহর হিসেবে শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার।
এ সময় বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৫৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। একই সময় ১৩৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর। আর তৃতীয় স্থানে থাকা চিলির সান্তিয়াগো শহরের স্কোর ১২৯।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
Posted ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin