নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৫ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল কমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের সুরমা যাদুকাটা রক্তি বৌলাই, খাসিয়ামারা চলতি ঝালুখালি মনাইসহ জেলার ২৭ নদীর পানি কমছে। তবে নিচের দিকে (ভাটিতে) বসতঘরের চারপাশ ও চলাচলের সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে।
সুনামগঞ্জ শহরের নুতপাড়া পশ্চিম হাজীপাড়া কালীপুর হাছননগর, হাছনবসত ষোলঘর নবীনগরসহ সবকটি নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতা ও ঢলের পানি নেমে গেছে। জেলার সুনামগঞ্জ সদর দোয়ারাবাজার ছাতক মধ্যনগর তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জসহ সাত উপজেলার নিম্নাঞ্চলের পানি নামছে ধীরে নামছে।
তবে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর এলাকার ১৪টি বসত ঘরের মধ্যে ১০ টি বসতঘরে ঢলের পানি ১৫ দিন ধরে প্রবেশ করেছে। এসব ঘরের অর্ধশতাধিক মানুষ বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে ৫ দিন ধরে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সুলতানপুর এলাকার এসব পরিবারের বেশির ভাগ জেলে, গাড়ি চালক, রাজমিস্ত্রী, ভ্যানচালক, হকার শ্রেণির লোকজন বসবাস করেন। দেখার হাওড় ও সোনাখালী নদীর পানিতে এসব ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে।
সুলতানপুর এলাকার রাজমিস্ত্রী রেনু মিয়া, মঈনুল গাড়িচালক, রহমান মিয়া দিন মজুর ফাতেমা বেগমের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, পানি না উঠলে তাদের বসতঘরের চারপাশ ও চলাচলের সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে। গবাদিপশু, হাঁস মুরগি নিয়ে অনেক দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। নৌকা দিয়ে শহরে যাতায়াত করছেন। পুরো সুলতানপুর এলাকার এই সব ঘরবাড়ি ৫ থেকে ১০ ফুট পানিতে তলিয়ে আছে।
তারা জানান, প্রতিবছর আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। শুষ্ক মৌসুমে পানি সরে গেলে তাদের চলাচলের পথ সুগম হয়।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজ এবং ছাতক ও বিশ্বম্ভরপুরের তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়ে ৩৭টি পরিবার আশ্রয় নেয়। তবে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢল থেমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
Posted ৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin