সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে বিএনপি। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পদযাত্রাকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বগুড়ায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ককটেলের ধোঁয়ায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুলের মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান বিএনপি কর্মীরা। ককটেলের ধোঁয়ায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাদেরকে দ্রুত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা একজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবার সন্তানেরা পড়ালেখা করে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা হবে এটা আসলে আমাদের কাম্য নয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। স্কুলের জানালার পাশে যারা ছিল তারা বেশি অসুস্থ হয়েছে। ধোঁয়া আর শব্দের কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে যাই।

বিস্ফোরণে আহত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা স্কুলে ক্লাস করছিলাম। হুট করে বিস্ফোরণের শব্দ পাই। এ সময় স্কুলের ২০০-৩০০ জন শিক্ষার্থী আতঙ্কিত হয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে আসে। বাইরে থেকে অনেকে ইট ছুঁড়ে মারে। গ্যাসের ধোঁয়ায় আমাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ইয়াকুবিয়া স্কুলের একজন শিক্ষিকা বলেন, স্কুলের পাশে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়। তার আগে আমরা বিএনপির একটি মিছিলের শব্দ শুনতে পাই। মিছিলটি স্কুলের গেটে এসে থামে। সেখানেই তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর বাচ্চারা ভেতরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এছাড়া ককটেলের ধোঁয়ায় অনেক বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে আমরা দ্রুত তাদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে এভাবে ককটেল বিস্ফোরণ হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় আমি ধিক্কার জানাই।