নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রথম বাংলাদেশি পর্বতারোহী হিসেবে ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’-এর দুর্গম ১৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। এ উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে কাঠমাণ্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় শাকিলকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী। এ সময় শাকিল দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার অভিযানের অভিজ্ঞতার কথা জানান। পাশাপাশি সার্বিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, পর্বতারোহী শাকিল নেপালের পশ্চিম প্রান্তের হিলশা বর্ডার থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চলীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা বেস ক্যাম্প পর্যন্ত এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ ১০২ দিনে অতিক্রম করেন। বিশ্বের খুবই কমসংখ্যক পর্বতারোহী এ পর্যন্ত সফলভাবে ট্রেইলটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন। এই অভিযানের সময় শাকিলকে ২৯টি দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করতে হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি অত্যন্ত বিপদসংকুল হিসেবে চিহ্নিত।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ জুলাই ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে যান শাকিল। সেখানে ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’-এর আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি নিয়ে ২৫ জুলাই কাঠমান্ডু থেকে রওনা হন নেপালগঞ্জে। পরে সিমিকোটে পৌঁছান তিনি। মূলত সেখান থেকেই ট্রেইলের যাত্রা শুরু করেন এ পর্বতারোহী।
২৮ জুলাই সকাল থেকে ট্রেইলের অভিযান শুরু করেন শাকিল। এরপর একটানা ৪ দিন ট্রেকিং করে পশ্চিম নেপালের নেপাল-তিব্বত বর্ডারে ৩ হাজার ৬৪২ মিটার উচ্চতার হিলসা গ্রামে পৌঁছান তিনি।
এরপর আগস্টের প্রথম সকালে হিলশা থেকে মূল অভিযান শুরু করে হোমলা, মোগু, ডোলপা, মানাঙ, গোরখা, রুবি ভ্যালী, ল্যাঙটাঙ, হিলাম্বু, গৌরিশঙ্কর, সলোখুম্বু, এভারেস্ট বেসক্যাম্প, মাকালু ন্যাশনাল পার্ক হয়ে নেপালের উচুঁ-নিচু দুর্গম বিপদজনক পথ পায়ে হেঁটে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্পে পৌঁছান শাকিল।
প্রসঙ্গত, ইকরামুল হাসান শাকিল এখন পর্যন্ত ‘হিমলুং’, ‘মাউন্ট কেয়াজো-রি’, ‘দ্রোপদি-কা-ডান্ডা-২’ এবং সবশেষ ‘ডোলমা খাং’ জয় করেছেন। এছাড়াও তার লেখা ভ্রমণ সাহিত্য ‘হিমলুং শিখরে’, ‘মাউন্ট কেয়াজো-রি: শিখরে বাংলাদেশ’, ‘পদচিহ্ন এঁকে যাই’ ও ‘পর্বতাভিযানে শ্বাসরুদ্ধকর পনেরো ঘণ্টা’ বইগুলো রয়েছে।
Posted ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin