শনিবার ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজানের সময় নারীদের মাথায় কাপড় দেওয়া: যা বলে শরিয়ত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

আমাদের মাঝে অনেক মা-বোনই আছেন যারা সবসময় মাথায় কাপড় দেন না। কিন্তু আজানের সময় মাথায় কাপড় দেন। আজান শেষ হলে মাথার কাপড় আবার নামিয়ে ফেলেন।

আর এমন সময় জিজ্ঞেস করলে বলেন আজানের সময় মাথায় কাপড় না দিলে শয়তান চুলের ফাঁকে এসে আশ্রয় নেই। এ কথা কতটুকু সত্য; এ সম্পর্কে শরিয়তের বক্তব্য নিচে তুলে করা হলো-

নারীদের মাথা ঢেকে রাখা এবং মাথায় কাপড় দেওয়া আজান সংশ্লিষ্ট বিষয় নয়। বরং নারীদের মাথায় কাপড় সব সময় থাকা উচিত। কেননা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়।‘জিলবার অর্থ হাত, পা, মাথা, সমস্ত শরীর ডেকে রাখার মতো কাপড়’। (সূরা: আহজাব, আয়াত : ৫৯)।

পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে নারীদের পর্দা বা হিজাবের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র লম্বা চাদর বা আবরণ যথেষ্ট নয় বরং মুমিন কন্যা ও নারীরা এমন পোশাক পরিধান করবে যাতে চুলসহ তাদের সমস্ত শরীর ঢেকে থাকে। শরীর বা চুলের কোনো অংশ বাইরে বের করে রাখা যাবে না। পোশাক পরিধান করলে তোমরা পবিত্র আত্মার নারী হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং দুষ্ট লোকদের দ্বারা নিপীড়ন বা উত্যক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। কোনো খারাপ লোক পুরো শরীর আবৃত কোনো নারীর সম্মানহানি করতে যাবে না।

(১) হিজাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে কুদৃষ্টি, ইভটিজিং ও মর্যাদা হানিকর আচরণ থেকে নারীকে রক্ষা করা। কাজেই হিজাব নারীর জন্য কিছুটা সীমাবদ্ধতা তৈরি করলেও এটি তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

(২) আল্লাহ তাআলা ও তার রাসূলের নির্দেশ হচ্ছে ইসলামি সমাজে সবার পবিত্রতা ও সম্মান রক্ষা করা। এই নির্দেশ পালনের জন্যই নারীকে ঘর থেকে বাইরে বের হলে উপযুক্ত পোশাক পরিধান করতে হবে।

(৩) ইসলাম নারীকে ঘরের মধ্যে পুরোপুরি আটকে থাকতে বলেনি। বরং হিজাব পরিধান করে তারা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন।

আর নারীরা আজানের সময় যেভাবে মাথা ঢেকে নেন, এটা মূলত আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যদি কোনো নারীর বাসা-বাড়িতে অসতর্কাবস্থায় মাথায় কাপড় না থাকে। তবে আজানের সময় সে যদি সতর্ক হয় এবং মাথায় কাপড় টেনে নেয়। তাহলে এটা ঈমান ও আল্লাহভীতির পরিচায়ক।

কেননা আজান আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও মহত্ত্বসংবলিত কিছু বাক্যের সমষ্টি। যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ‘শিআর’ তথা প্রতীক। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেউ আল্লাহর প্রতীকে সম্মান প্রদর্শন করলে সেটা তো তার হৃদয়ের খোদাভীতিপ্রসূত।’ (সূরা: হজ, আয়াত: ৩২

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]