শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইংল্যান্ডের স্পিন-দুঃখ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট

ইংল্যান্ডের স্পিন-দুঃখ

হোয়াংহো নদী অর্থাৎ পীতনদীকে বলা হতো চীনের দুঃখ। প্রাচীন চীনে প্রায়ই হোয়াংহো নদী ছাপিয়ে উঠে সবকিছু বন্যায় ভাসিয়ে দিত বলে এই নদীর নাম ছিল চীনের দুঃখ। ইতিহাসে ছাব্বিশবার এই নদীর গতিপথ বদল হয়েছে অতি প্রচন্ডভাবে। এর ফলে প্রত্যেকবারই চীনের জনগণের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় দুঃখ-দুদর্শা। তেমনি ইংল্যান্ডের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্পিন। তারা এই স্পিনকে যেন বাঘের মতো ভয় পান।

একটা সময় ছিল যখন এশিয়ার মাটিতে খেলতে এলে স্পিনেই বেশি কাবু হতো ইংল্যান্ড। দলে স্পিনার থাকলেও সে রকম কার্যকর ঘূর্ণি বোলার নিয়মিত তৈরি করতে পারেনি তারা। সোয়ান ও আন্ডারউডরা বেশ কিছুদিন স্পিনে দাপট দেখালেও ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের স্পিন খেলার দূর্বলতা প্রায়ই চোখে পড়ে। বিশেষ করে এশিয়ার স্পিন সহায়ক উইকেটে একাধিকবার পা হড়কানোর রেকর্ড রয়েছে তাদের। যেটা গত এক দশক পেরিয়েও সমাধান করতে পারেনি ইংল্যান্ড।

সর্বশেষ দিল্লিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ভরাডুবির মূল কারণ এই স্পিন। ইংলিশদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার কোনো প্রতিপক্ষের স্পিনাররা তাদের আট ব্যাটারকে আউট করলেন। মুজিব, নবী আর রশিদ-এই তিন স্পিনারকে রুখতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

পরিসংখ্যান বলছে, তাদের এমন দশা আগেও স্পিনাররা করেছিল। তবে ঘূর্ণিতে এত বড় ধাক্কা খায়নি তারা। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের স্পিনাররা খারাপ করেনি। ২৪ ওভার বোলিং করেছে ইংলিশ স্পিনাররা। যেখানে ৯৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তারা। আর আফগানিস্তানের বিশ্বমানের স্পিন আক্রমণে স্তব্ধ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন। সবমিলিয়ে এদিন ২৫.৩ ওভার বোলিং করেছে আফগান স্পিনাররা। যেখানে ১০৪ রানে তুলে নিয়েছে ৮ উইকেট।

দিনটি যে স্পিনারদের ছিল সেটা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেবে পরিসংখ্যান। জয়ী দলের গুরবাজকে ছাপিয়ে যেখানে নায়ক মুজিব। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট স্পিনারদের ঝুলিতে গেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৪ উইকেট শিকার করেছেন স্পিনাররা। সেটা ২০০৩ সালে কেনিয়া-শ্রীলংকা ম্যাচে। এরপর ২০১১ সালে নাগপুরে কানাডা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচেও স্পিনাররা নেন ১৪ উইকেট।

যদিও দিল্লিতে টস একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল। ২০১৩ সালের পর থেকে ৮ ম্যাচের ৬টিতে জয় পায় যারা কিনা আগে ব্যাটিং করেছে। কেবল দুটি ভিন্নতা দেখা যায়, যার একটিতে গত বছর সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ভারত। আর আফগানিস্তান সবশেষ এই বিশ্বকাপেই হেরেছিল ভারতের কাছে।

এই দুটিতে আগে ব্যাট করা দলেরও রক্ষা হয়নি। যেমনটা ম্যাচের পর ইংল্যান্ডের দলনেতা জস বাটলারও স্বীকার করেছেন, ‘টস জিতে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠানোটা হতাশাজনক সিদ্ধান্ত ছিল। তাদের দারুণ কিছু বোলার আছে। যারা কিনা সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন। আমি সব ক্রেডিট তাদেরই দেবো।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]