বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিআরটি প্রকল্পের ৭ ফ্লাইওভারের দুয়ার খুললো

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

বিআরটি প্রকল্পের ৭ ফ্লাইওভারের দুয়ার খুললো

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) অংশের ৭টি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফ্লাইওভারগুলো উন্মুক্ত করেন।

ফ্লাইওভার গুলোর মধ্যে আছে- এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-১ গাজীপুর ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ভোগড়া ফ্লাইওভার ও চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নানান ঝামেলায় এই প্রজেক্টের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন এটি শেষের পর্যায়ে। আশা করি, এ বছরেই এটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।’ এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানান মন্ত্রী।

প্রকল্পের ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (আরএইচডি) কাজ ১৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৭টি ফ্লাইওভার রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় রয়েছে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ।

সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরা হাউজ বিল্ডিং হতে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলাকার সড়কের কাজ করছে। বাকিটা হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে।

এছাড়া, সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে।

বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য থাকছে ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুপাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।

২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেক বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]