শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাঁচায় করে বিয়ে করতে এলো বর

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

খাঁচায় করে বিয়ে করতে এলো বর

দুজন মানুষ পরস্পরকে ভালোবেসে এগিয়ে নেয় দাম্পত্য জীবন। যদিও পৃথিবীর সব দেশে বিয়ে করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে ভারতের সংস্কৃতিতে বিবাহ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাকি জীবনটুকু একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার করেন।

তবে মানুষের ক্ষেত্রে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির আলাদা গুরুত্ব থাকলেও অন্যান্য জীবজন্তুর ক্ষেত্রে সেসবের পাট নেই। পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ না হয়েই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে দিব্যি ভালোবেসে দিন কাটিয়ে দেয় তারা। কিন্তু সম্প্রতি একটি ঘটনায় এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। সেখানে রীতিমতো কুণ্ডলী মিলিয়ে বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি মেনে একটি টিয়া পাখির সঙ্গে চার-পা এক হয়েছে একটি ময়না পাখির।

আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের করেলির পিপারিয়া গ্রামে। সেই গ্রামেরই বাসিন্দা দুই ব্যক্তি সন্তানস্নেহে প্রতিপালন করা দুই পোষ্যের গাঁটছড়া বেঁধে দিয়েছেন। রামস্বরূপ পরিহারের পোষা ময়না বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েছে বাদল লাল বিশ্বকর্মার টিয়ার সঙ্গে। রীতিমতো হিন্দু বিবাহ রীতি মেনেই রবিবার সুসম্পন্ন হয়েছে বিয়ে।

জানা গেছে, বিয়ের আগে কুণ্ডলীও মিলিয়ে দেখা হয় পাত্র-পাত্রীর। জোটক বিচারে পাশ করার পরেই ছেলে-মেয়ের বিয়েতে সম্মতি দেন বাদল লাল এবং রামস্বরূপ। তারপর তো মহা ধুমধাম, জাঁকজমক। বাদ্যি বাজনা বাজিয়ে ঢোলের তালে নাচতে নাচতে রামস্বরূপের বাড়িতে মণ্ডপে এসে পৌঁছান বরযাত্রীরা। চারচাকা গাড়ির ভেতর খাঁচায় করে আসে টিয়া-বর। পাত্রকে দেখার জন্য রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছিল রাস্তায়।
জানা গেছে, বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সবাই নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ভোজ খেয়ে গেছেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হলে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলে বৃষ্টি নামে। তবে ধুমধাম করে টিয়া-ময়নার বিয়ে দেওয়ার এমন নজির আর বোধহয় নেই। অভিনব এই বিয়ে এখন ঐ গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।

সূত্র: দ্য ওয়াল

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:১০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]