নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
ড্যারেল মিচেলের সেঞ্চুরি ও টম ল্যাথামের অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা ইনিংসে নিউজিল্যান্ড বড় টার্গেট দিয়েছিল পাকিস্তানকে। রাওয়ালপিন্ডিতে জয় পেতে গড়তে হতো রান তাড়ায় নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এমন চাপের ম্যাচে হেসে-খেলে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ফখর জামানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সঙ্গে অধিনায়ক বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অর্ধশতকে ভর করে ১০ বল বাকি রেখেই জয় ছিনিয়ে এনেছে পাকিস্তান।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান তোলে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। ১১৯ বলে ১২৯ রান করেন ড্যারেল মিচেল। এছাড়া তম লাথাম ৯৮ ও চাদ বোয়েস ৫১ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভার ২ বলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। ১৪৪ বলে ১৮০ রানে অপরাজিত থেকে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন ফখর জামান। এছাড়া অধিনায়ক বাবর আজম ৬৫ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৪ রান করেন।
প্রথম ম্যাচে ২৮৮ রান তুলে হার এড়াতে পারেনি টম লাথামের দল। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে রান তোলায় গতি বাড়িয়েছেন তারা। ড্যারেল মিচেল ব্যাটকে খাপছাড়া তরবারি বানিয়ে চড়াও হন পাকিস্তানি বোলারদের ওপর। ৮টি চার ও ৩টি ছয়ে ১২৯ রান করেন তিনি।
এছাড়া দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেন কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। তাকে ২ রানের আক্ষেপে পোড়ান পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। ৪৬.৫ ওভারে দলীয় ৩১২ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন লাথাম। তাতে সেঞ্চুরি না ছোঁয়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
কিউইদের পক্ষে ৫১ বলে ৫১ রান করেন ওপেনার চাদ বোয়েস। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন হারিস রউফ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইমাম উল হককে নিয়ে ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ফখর জামান। ২৪ রান করে ম্যাট হেনরির বলে মিচেলের হাতে ধরা পড়েন ইমাম। এরপরই অধিনায়ক বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে দেন আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি হাঁকানো ফখর। ৩০তম ওভারের শেষ বলে বাবর যখন ঈশ সোধির শিকারে পরিণত হন ততক্ষণে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২০১ রান। ৬৬ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৬৫ রান করেন পাক অধিনায়ক।
বাবরের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি আব্দুল্লাহ শফিকও। ৭ রান করেই শিপলের বলে হেনরির হাতে ধরা পড়েন শফিক। ব্যাস! এখানেই শেষ নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের গল্প। এরপরের বাকি সময়টা ফখর ও রিজওয়ান তাণ্ডব চালান কিউয়িদের ওপর।
শেষ পর্যন্ত ১৪৪ বলে ১৭ চার ও ৬ ছয়ে ১৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর। এই ইনিংস খেলার পথে অবশ্য ৫০ ও ৫৫ রানের মাথায় দুবার জীবন পেয়েছিলেন এই ওপেনার। এই নিয়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করলেন ফখর। রিজওয়ান মাত্র ৪১ বলে ৬ চারে ৫৪ রান করে পার্শ্বনায়কের ভূমিকা পালন করেন।
এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে এর আগে মাত্র একবারই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। গত বছর লাহোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪৮ রান তাড়া করে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে বাবর আজমের দল।
Posted ৩:৩১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin