শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-অরেঞ্জের সোহেল কোথায়, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

ই-অরেঞ্জের সোহেল কোথায়, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ই-অরেঞ্জের সোহেল রানা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন, তা জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (২১ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে তাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ আর রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম লিটন।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা ই-অরেঞ্জের সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সোহেল রানা ভারতের কারাগারে আটক ছিলেন, এরপর জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন, আরাফাত আলী, তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামের ছয়জন গ্রাহক গত বছর মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন।

ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার ভাই সোহেল রানা, বিথি আক্তারসহ ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ব্যাংকসহ কার কোথায় কত ব্যক্তিগত সম্পদ আছে; তা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনাসহ রুল চাওয়া হয় রিটে।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুদক, বিএফআইইউ ও সিআইডকে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

সেই সঙ্গে গ্রাহক নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতির অনুপাতে রিট আবেদনকারীসহ প্রতারিত অন্যান্য গ্রাহকদের মধ্যে সে টাকা বণ্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএফআইউর প্রধান, সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারকে রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় জামিন পাওয়ার পর প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পালিয়েছেন আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও ঢাকার বনানী থানার বরখাস্ত ওসি সোহেল রানা। কলকাতায় থানায় হাজিরা না দেয়ায় শুরু হয় তার খোঁজ। গত ২১ জানুয়ারি এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পুলিশ রিপোর্টে বিষয়টি উল্লেখ করছেন অনুপ্রবেশ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ২০২১ সালে ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন সোহেল। ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]