নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশের ফুটবল রেফারিরা ম্যাচ ভিত্তিক পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। ঢাকার বাইরে থেকে এসে একজন রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করলে পান ১১,৪০০ টাকা (প্রতি ম্যাচ)। স্থানীয়রা পান ৫,৮০০ টাকা। ম্যাচ প্রতি পারিশ্রমিকের পরিবর্তে এখন রেফারিদের পেশাদার যুগে প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাফুফে।
নতুন বছরেই সর্বোচ্চ ১৫ জন রেফারিকে বেতনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। বাফুফের সর্বশেষ নির্বাহী কমিটির সভায় এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে পাইওনিয়ার লিগ পর্যন্ত খেলা পরিচালনা করা রেফারির সংখ্যা ৩০০’র মতো। পুরো দেশে সংখ্যাটা হাজার ছাড়াবে। এই রেফারিদের মধ্যে থেকেই বাফুফে নারীসহ ১৫ জন রেফারিকে চাকরি দিতে যাচ্ছে।
মো. আবু নাইম সোহাগ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই রেফারিদের চাকরি দেওয়ার রেওয়াজ আছে। এর মাধ্যমে রেফারিদের পারফরম্যান্স ভাল করার দায়বদ্ধতা বাড়বে। প্রতি চার মাস অন্তর রেফারিদের পারফম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। তার ভিত্তিতে কারো গ্রেড উন্নতি হবে, কারো অবনতি হবে এবং কাউকে বাদও পড়তে হবে।
‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রেফারিদের চাকরি দেবে বাফুফে। দেশে ১২ জন ফিফা রেফারি আছেন। যার মধ্যে দুই জন নারী। যেসব রেফারি কোথাও চাকরি করছেন তাদের বিবেচনায় আনবে না বাফুফে।
জানা গেছে, বাফুফের রেফারিজ কমিটি ৫ জন নারীসহ ২০ জন রেফারির একটি তালিকা বাফুফেতে জমাও দিয়েছে। এখন বাফুফে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে।
উদ্যোগটিকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে একজন সিনিয়র রেফারি বলেছেন, এটা দারুণ একটা উদ্যোগ। যারা চাকরি করবেন তারা সারা বছর বেতন পাবেন আবার ম্যাচ পরিচালনা করলে সম্মানিও পাবেন। এর মাধ্যমে রেফারিদের দক্ষতা বাড়বে বলে আমি মনে করি। ভালো করার একটা প্রচেষ্টাও থাকবে সবার।
বাফুফেতে নিয়োগ পাওয়া রেফারিরা খেলা না থাকলেও বেতন পাবেন। আবার খেলা পরিচালনা করলেও পাবেন আলাদা সম্মানি। তবে বেতনের আওতাভুক্তদের সম্মানি বেতনের বাইরে থাকাদের সম্মানির সমান হবে না।
Posted ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin